“প্রশাসনিক কর্মকর্তা” বাস্তবায়ের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দাবি দাওয়া বাস্তবায়ন কমিটির ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
"জরুরি সভার নোটিশ"
প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সমমানের পদের পদবি পরিবর্তন করে “প্রশাসনিক কর্মকর্তা” বাস্তবায়ের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দাবি দাওয়া বাস্তবায়ন কমিটির ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখের সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আজ বাংলাদেশ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী ১২/০৭/২০২৫ তারিখ বিকাল ৪ টায় ডাক ভবন (জিপিও) সংগঠনের কার্যালয়ে অধিদপ্তর, দপ্তর, সংস্থার প্রতিনিধি নিয়ে সাধারন সভা করে জরুরি দাবি বাস্তবায়নের কর্মসূচি লক্ষ্যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আগামী ১২ জুলাই ২০২৫ তারিখে মিটিংয়ে সকল দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত দেখতে চাই। আমরা প্রমান করতে চাই এই দাবি দপ্তর সংস্থা কর্মচারীদের প্রাণের দাবি। তাই সকলে ঐক্য বদ্ধ হয়ে মিটিং উপস্থিত থাকবে। এই অঙ্গীকার এবং প্রতিশ্রুতি সবাই নেই।
বিশেষ কিছু দপ্তরের নাম উল্লেখ্য করা হলো:
১। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর ০৫ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
২। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এর ৫ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
৩। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এর ৫ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : জনাব মো : এনামুল মজুমদার ভাই।
৪। কৃষি সম্পসারন অধিদপ্তর এর ৫ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : জনাব মো : শাহাদাৎ ভাই।
৫। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এর ২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : জনাব মো : শাহাদাত ভাই।
৬। তুলা উন্নয়ন এর ২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : জনাব মো: শাহাদাত ভাই।
৭। পাট গবেষণা এর ৫ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
( কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল দপ্তরের দায়িত্ব শাহাদাৎ ও জাকির ভাইয়ের দায়িত্ব)
৮। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর ২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
৯। মৎস্য অধিদপ্তর এর ২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
১০৷ গণপূর্ত অধিদফতর এর ২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
১১। খাদ্য অধিদপ্তর এর ৩ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : জনাব মো : জাহিদ ভাই।
১২। বিদ্যুৎ ভবন এর ৩ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
১৩। আগুন অধিদপ্তর এর ২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
১৪। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর ৩ জম প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : জনাব মো : জাহাঙ্গীর আলম ভাই।
১৫। ঢাকা মেডিকেল কলেজ এর প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন এবং
ঢাকার সকল মেডিকেল কলেজ এর দায়িত্ব জনাব মো: মামুন ভাইয়ের।
১৬। পানি উন্নয়ন বোর্ড এর ৩ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ: জনাব মো: জাকির হোসেন।
১৭। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর হতে ২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
১৮। বন অধিদপ্তর এর ২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : মো: শাজাহান ভাই।
১৯। এলজিআরডি এর ২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : জনাব শফিকুল ইসলাম ভাই।
২০। পরিবেশ অধিদপ্তর এর ২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
২১। ডাক অধিদপ্তর এর ৫ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : জনাব মো: জাকির হোসেন ভাই।
২২। সার্ভে আব বাংলাদেশ এর ৩ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : জনাব মো : জুয়েল ভাই।
২৩। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর ৩ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : জনাব মো : ইসলাম খান ভাই।
২৪। কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এর প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
২৫। ক্রিয়া পরিদপ্তর এর প্রতিনিধি।
২৬। আবহাওয়া অধিদপ্তরের এর প্রতিনিধি।
২৭। পরিসংখ্যান ব্যুরো এর প্রতিনিধি।
২৮। সামরিক ভুমি অধিদপ্তর এর প্রতিনিধি।
২৯। পুলিশ অধিদপ্তর এর সকল শাখা হতে ১০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
৩০। নির্বাচন কমিশন এর প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
৩১। ধান গবেষণা এর প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : জনাব মো : জাকির হোসেন ভাই।
৩২। গণযোগাযোগ অধিদপ্তর এর প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
৩৩। ভূমি ও জরিপ অধিদপ্তর এর প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
৩৪। ভূমি সংস্কার বোর্ড এর প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
৩৫। নাসিং অধিদপ্তর এর প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : জনাব মো : মহাসিন ভাই।
৩৬। বহি: গমন অধিদপ্তর এর প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
৩৭। সমাজ সেবা এর প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
৩৮। অবাসন পরিদপ্তর এর প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
৩৯। জাতীয় পাঠ্য পুস্তক বোর্ড।
৪০। শ্রম পরিদপ্তর এর প্রতিনিধি।
দৃষ্টি আকর্ষণ: জনাব মো: হারুন ভাই।
৪১। বিআরটিএ এর প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : জনাব আশিক ভাই।
৪২। রেলওয়ে অধিদপ্তর এর প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
৪৩। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এর ৫ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : জনাব মো : খায়ের আহমেদ মজুমদার ভাই।
আমি নিজে মিটিং উপস্থিত থাকবো এবং আমার পরিচিত ভাই ও বোনদের দাওয়াত দিব।
পদবি বৈষম্য নিরসনে প্রশাসনিক ঐক্য
পরিষদের হুঁশিয়ারি
বাংলাদেশ সচিবালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মতো পদ-পদবি সৃষ্টির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ। একইসঙ্গে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিসহ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রার ঘোষণা দেন তারা।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সংগঠনটির মহাসচিব মো. বেল্লাল হোসেন এবং সভাপতি আবু নাসির খান।
বেল্লাল হোসেন বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন কমিটি ও বিধি অনুবিভাগ কর্মচারীদের মধ্যে সৃষ্ট এ বৈষম্য নিরসনে নিম্নগ্রেডের কর্মচারীদের নিয়ে তামাশা করা হচ্ছে। ২০১২ সাল থেকে পদবি বৈষম্য নিরসনে আন্দোলন করছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শুধু কমিটি আর প্রতিবেদনের মধ্যে আছে। ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর প্রস্তাব পাঠানোর মাধ্যমে পদনাম ও বেতনস্কেল পরিবর্তন করা হবে বলে সব দফতরের সচিব পর্যায়ে চিঠি পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।’
তিনি বলেন, ‘এ যাবত ৩১টি অধিদফতর থেকে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব পাঠানো হলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগ হঠকারি এবং স্ববিরোধী মতামত দিয়ে প্রতিটি প্রস্তাব ফেরত দেয়। ইতোমধ্যে সরকার সমস্কেল ও নিম্ন বেতন স্কেলের কর্মচারীদের মধ্যে রক সুপারভাইজার, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, নার্স, অডিটর, খাদ্য পরিদর্শক, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, পুলিশের এসআইসহ অসংখ্য পদের পদবি ও বেতন স্কেল উন্নীত করেছে। অথচ অধিদফতর, দফতর, সংস্থার দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিধারী এ পদগুলোর পদবি পরিবর্তন না করে সচিবালয়ের সঙ্গে দফতর সংস্থার কর্মচারীদের মধ্যে ২৯ বছর ধরে আমলাতান্ত্রিক বৈষম্য সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ইতোপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈষম্য নিরসনের সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও তা কেন বাস্তবায়ন হচ্ছে না, আমাদের বোধগম্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পদবি ও বেতনবৈষম্য দূর না হলে ৮ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিসহ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে। এরপর অধিদফতর, দফতর, সংস্থার প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’
সংগঠনটির সভাপতি আবু নাসির খান বলেন, ‘বাংলাদেশ সচিবালয়ের ভেতরে ও বাইরে সরকারি দফতরের প্রধান সহকারী, সহকারী, উচ্চমান সহকারী সমপদের পদবি ও বেতন স্কেল এক এবং অভিন্ন ছিল। সচিবালয়ের বর্ণিত পদগুলো প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদবিসহ বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। ফলে সরকারি দফতরগুলোর মধ্যে পদবি ও বেতন বৈষম্যের সৃষ্টি হয়। সংগঠনের দাবি-দাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বৈষম্য নিরসনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পরপর তিনবার সুপারিশ করা সত্ত্বেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সুপারিশটি বাস্তবায়ন করছে না। দীর্ঘদিন গড়িমসি করেই যাচ্ছেন।’
0 Comments:
Post a Comment