Home » , » ১২ দিনের যুদ্ধ || এর পর কী হবে

১২ দিনের যুদ্ধ || এর পর কী হবে

২৫-০৬-২০২৫

আসসালামু আলাইকুম। তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে আপনাদের সাথে আছি আমি আলম। ইরান এবং ইসরাইলের মধ্যে 12 দিনের যুদ্ধ শেষ হলো। এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এখন অনেকগুলো প্রশ্ন সামনে আসছে। প্রশ্নগুলোর মধ্যে প্রথম হচ্ছে এই যুদ্ধে কে কি পেল? তারপর হচ্ছে এরপরে কি হবে? এরপরের প্রশ্ন হচ্ছে ইসরাইল আসলেই থামবে কিনা এবং শেষ প্রশ্ন ইরানের ভবিষ্যৎ কি? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আজকে আমরা খোঁজার চেষ্টা করব এবং সেই সাথে আপনাদের অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর দেয়ারও চেষ্টা করব। এবং আজকে এই 12 দিনের হিসাব নিকাশ আমরা করব। আসলে এই 12 দিনে


শেষ পর্যন্ত এই 12 দিনে কি হলো কার কি পাওয়া এবং না পাওয়া জয় এবং পরাজয় এগুলো নিয়ে আজকে আলোচনা করব। এখন যে যেখান থেকে যোগ দিয়েছেন এবং গত 12 দিন ধরে আমাদের সাথে যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন, সাপোর্ট দিয়েছেন, ভিডিও দেখেছেন, লাইভ দেখেছেন, কমেন্ট করেছেন তাদের সবাইকে সুস্বাগতম এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দেখুন আমরা যখন আলোচনাগুলো করি অবশ্যই আপনাদের জন্য আসি নিজেদের জন্য আসি এবং এই আলোচনার মাধ্যমে সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করি আপনাদেরকে যতটুকু সম্ভব আমাদের জানা তথ্যগুলো বা আমাদের মেধা অনুযায়ী আপনাদের কাছে তথ্যগুলো শেয়ার

করার এই তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই অনেকগুলো ধারণা সঠিক হয় না এবং না হওয়াটা আমি মনে করি যে এটা আমাদের জন্য ভালো। ধারণা সঠিক হবে না। সবগুলো না হওয়াটাই বাস্তব। এবং এই ধারণাগুলোর মধ্যে আবার কতগুলো মোটামুটি বলা যায় যে মিলে যায়। এখন এই মিলে যাওয়াটা আমরা গায়েব থেকে যে তথ্য পেয়ে মিলে মিলে যাচ্ছে বিষয়টা সেরকম না। যেমন ধরুন আজকে ট্রাম্প ন্যাটো সম্মেলনে আসবে। এখন ন্যাটো সম্মেলন কিভাবে হয়? ন্যাটো সম্মেলনে কি ধরনের আলোচনা হয়? সেই জিনিসগুলো যখন আপনি মোটামুটি জানবেন তখন আপনি একটা ধারণা করতে পারবেন যে সেখানে কি কি বিষয় নিয়ে



আলোচনা হয়। তখন সেই ধারণার 50 60% মিলে যায়। যা হোক আগের শুরুর যে আলোচনা মূল যে আলোচনা সেখানে আসি। ইরান এবং ইসরাইলের মধ্যে একটা যুদ্ধবিরোতি হয়েছে। যুদ্ধবিরোতিটি সম্পন্ন করেছেন মূলত ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই যুদ্ধবিরতি সম্পন্ন করার যে স্টাইল সেটাকে যদি আমরা এক কথায় বলতে চাই তাহলে এভাবে বলতে পারবো যে Twitter এর উপর দিয়ে বিশ্ব পরিচালনা করছেন একজন রাষ্ট্রপতি। মানে তার আজকে সকাল থেকে শুরু করে যেই সমস্ত পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট যেগুলো পরে টুইার এসেছে সেগুলো যদি পড়েন তাহলে মনে হবে যে এই ব্যক্তি আসলে ডিপ্লোম্যাটিক


ওয়েতে রাষ্ট্র চালাচ্ছে না বরং সে টুইটার এর উপর দিয়ে রাষ্ট্র চালাচ্ছে। একবার বলতেছে এই ইসরাইল তুমি আর বোমা ফেলো না। তোমার সবগুলো বিমান নামিয়ে নিয়ে আসো। যদি এরপরেও আমার কথা না শোনো তাহলে খবর আছে। আবার সে টুইটে বলছে যে ইরান এবং ইসরাইল যুদ্ধবিরোতি মেনে নিয়েছে। তারপরে দুই পক্ষ যখন আক্রমণ করল তখন বলল যে এই তোমরা দুই পক্ষ যে আক্রমণ করতেছো আমি কিন্তু তোমাদের দেখতেছি খবর আছে। কিন্তু আমার কথা যদি না শোনো। এগুলো সব সে টুইট মেরে করতেছে। শেষ পর্যন্ত সে বলল যে উভয়পক্ষই শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরোধীতে এসেছে এবং এটা তার বড় অর্জন। সে এই

যুদ্ধবিরোতিতে নিয়ে আসার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছে। আসলেই অনেক পরিশ্রম করেছে। কারণ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর মত এই টাইপের ঘাতের একটা মানুষকে এই জায়গাতে নিয়ে আসা একেবারে সহজ কাজ না। আবার ধরুন ইরান এই ক্ষেত্রে সহজে যুদ্ধবিরোতিতে আসবে না। বারবার বলেছিল সেই ইরানও এসেছে। তাদেরকে যুদ্ধবির এত বড় একটা যুদ্ধ সহজে একেবারে জাস্ট হচ্ছে বলা যায় যে কয়েক ঘন্টার মধ্যে এখানে একটা যুদ্ধবিরোতি বাস্তবায়ন করা। খুব চারটিখানি কথা না বাস্তব কথা যেটা কিন্তু কিভাবে হলো কেন হলো কেন এই দুই পক্ষ যুদ্ধবিরোতিতে গেল এবং এই যুদ্ধবিরোতির পরে দুই পক্ষের কি


হবে শুরু থেকে বলি ইরান এবং ইসরাইল এরা একে অপরের শত্রু ট্রাম্প বলেছে যে এরা আসলে এদের এদের সাথে বছরের পর বছর যুদ্ধ করছে বছরের পর বছর শত্রুতা করছে কিন্তু কিসের জন্য যে করছে এটাই তারা জানে না এখন এই যুদ্ধে ইরানের প্রায় কয়েকশ মানুষ ছয় 700 মানুষ নিহত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছে আর সাধারণ মানুষের চেয়েও ইরানের টপ জেনারেলদের প্রায় 20 25 জন নিহত হয়েছে ইরানের প্রায় 15 20 জন সাইন্টিস্টকে হত্যা করেছে ইসরাইল ইরানের তেহরানের বিভিন্ন এলাকাকে তসনচ করেছে ইসরাইল আবার ইসরাইলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘাটিতে আক্রমণ করেছে ইসরাইল




ইসরাইল থেকে হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে। নিজের নাগরিক দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। একটা অস্থিতিশীল অবস্থার তৈরি হয়েছিল ইসরাইলে। ইসরাইল নিজেকে যে একেবারে পুরোপুরি নিরাপদ তাকে কেউ টাচ করবে না। তার দিকে কেউ চোখ তুলে তাকাতে পারবে না। সেই জিনিসটাও শেষ হয়ে গেছে। এবং শেষ পর্যন্ত উভয়পক্ষে এসে যুদ্ধবিরোতিতে সম্মত হলো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কি শর্তে তারা যুদ্ধবিরোতিতে সম্মত? এই শর্ত এখনো পর্যন্ত আসেনি। ইরান বলেছিল যে আমি যুদ্ধবিরোতি নিয়ে আলোচনা করতে পারি যদি ইসরাইল আক্রমণ থামায়। ইসরাইল আক্রমণ থামিয়েছে। ইরান আক্রমণ থামিয়েছে।

ট্রাম্প বলছে যুদ্ধবিরোতি হয়েছে। তাহলে চুক্তির শর্তগুলো কি? আসে নাই এখনো। এখনো পর্যন্ত সামনে আসেনি। কি শর্তে চুক্তি হয়েছে? অবশ্যই ট্রাম্প বারবার বলছে যে ইরান আর পরমাণু অস্ত্র তৈরির কোন কাজ করতে পারবে না। সেটা আমরা শেষ করে দিয়েছি। এটা হচ্ছে ট্রাম্পের কথা। হয়তোবা চুক্তি এরকম হবে যে ইরান বলবে আমি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে যাবো না। সেরকম চুক্তিতে থাকতে হবে। এর পরপরই আবার ট্রাম্প বলছে যে এই চীন আসো চীন তুমি ইরানের কাছ থেকে তেল কিনতে পারো কোন সমস্যা নাই। এতদিন পর্যন্ত ইরানের উপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তার মানে ইরানের উপর


থেকে কি সে তাহলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে এরকম একটা ইঙ্গিত। জানিনা। এরপরে হচ্ছে এই সবকিছু গত দুই বছর ধরে যেই জায়গাটাকে যেই ভূমিটাকে যেই মানুষগুলোকে কেন্দ্র করে ঘটেছে ফিলিস্তিন ফিলিস্তিনিরা এবং গাজা ভূখণ্ড সেটার কোন আলোচনা সেটার কোন একটা ধারা সেটার জন্য কোন কিছু এই যুদ্ধবিরোতিতে থাকবে কিনা জানিনা। এরপরে হচ্ছে ইরান। এই যুদ্ধবিরতির পর আজকে এখন ইরানের রাজধানীতে ইস্তেকলাল স্কয়ারে ইরানের রাজধানীতে ইরানের সরকার ব্যাপক পরিমাণে বিজয় উৎসব পালন করছে। কার বিজয়? কিসের বিজয়? কার বিরুদ্ধে বিজয়? কোন কাজে বিজয়?




বিজয়টা কি? এই যে ইসরাইল আক্রমণ করেছে আমাকে ক্ষমতাচুত করতে পারে নাই সেটার বিজয় তার কি চ্যালেঞ্জ ছিল এটা যে এই ইসরাইল তুমি আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না ব্যাস দেখো আমি ক্ষমতাচুত হইনি এটাই হচ্ছে আমার বিজয় তার এক ডজন দুই ডজন জেনারেল নিহত হলো বড় বড় পরমাণু বিজ্ঞানীদের প্রায় এক ডজন দেড় ডজন নিহত হলো মানুষ নিহত হলো শত শত ঘরবাড়ি ধ্বংস হলো। দেশের মধ্যে সব জায়গায় মোসাদের এজেন্ট এমনভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যেটা এই যুদ্ধের সময় মোটামুটি প্রকাশ হয়ে গেল। হিজবুল্লাহ ইসরাইলের বিরুদ্ধে যেই অবস্থায় ছিল প্রায় ঠিক একই রকম অবস্থায় ইরানের এই সিকিউরিটি


এবং গোয়েন্দা সিস্টেম। এত কিছুর পর এই মুহূর্তে এসে তাদের বিজয় উদযাপন করার মানেটা কি? এবং সেই বিজয় উদযাপনের স্লোগান হচ্ছে ইসরাইল নিপাজক। আমেরিকার নিপাজক এরপরে হচ্ছে ইসরাইলকে শেষ করে দিব। ইসরাইলকে বাঁচতে দিব না। আমরাই হচ্ছি শক্তিশালী। তো ইসরাইলকে যদি শেষ করেই দেন ইসরাইল যদি নিপাত যায় আমেরিকা যদি নিপাত যায় আমেরিকার মার্কিন ঘাটিতে কেন আগে থেকে বলে আক্রমণটা করেছিলেন ইসরাইল যদি নিপাই যায় তাহলে এটাই তো মোক্ষম সময় যে ইসরাইল আমেরিকা ইসরাইল ইরান একটা যুদ্ধ চলছে আপনি তাকে নিপাত করে দেন তাহলে বিজয়টা কিসের

বিজয়টা হচ্ছে আমি যেটা মনে করি ইরানের দিক থেকে চিন্তা করে সেটা হচ্ছে তাদের ধর্মীয় নেতা খামেনাইকে একেবারে পুরোপুরি আনটাচড তারা রাখতে পেরেছে। তাকে কেউ তার একটা পশম পর্যন্ত টাচ করতে পারেনি। এটা হচ্ছে তাদের বিজয় আর কিচ্ছু না। কারণ তাদের যে রাষ্ট্র পরিচালনার সিস্টেম এবং এই যে ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান বলতে যেটাকে বোঝানো হচ্ছে সেটার মূল জায়গা হচ্ছে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। তাকে রক্ষার জন্য সারাদেশের সব মানুষ মারা গেলেও যদি সে রক্ষা পায় সেটাই হচ্ছে তাদের বিজয়। এবং এ কারণে ইরান এই বিজয়কে উদযাপন করছে। যে কারণে শুরু থেকে এই জিনিসটাই বলে আসছি।




ইরানের সাথে ইসরাইলের যে লড়াই সেই লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে ফিলিস্তিন নাই। থাকবেও না। আবার সেই লড়াইয়ে ইরান একা থাকবে। আবার সেই লড়াইয়ে পুরোপুরি যে হচ্ছে একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে। ধ্বংস করে দিবে এরকম জায়গায় যাবে না। তাদের একটা ট্রেডিশন এবং ঐতিহ্য আছে, ইতিহাস আছে, ইতিহাসের ব্রেইন আছে যেগুলো দিয়ে তারা কাজ করছে। এখন এই যে যুদ্ধবিরোতি, এই যুদ্ধবিরোতির পর ইরান কি করবে? এরপরে ইরান আবার নতুন করে শক্তিশালী হবে কিনা? হওয়া উচিত কিনা? নাকি ইরান এই যে এখন যে দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে এই দুর্বলতাগুলো নিয়েই সে কন্টিনিউ করবে।


ইরানের দুর্বলতা কি কি প্রকাশ পেয়েছে? ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী না। ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা ব্যাপক পরিমাণে দুর্বল। ইরান তার নিজের সেনাপ্রধানদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। বিজ্ঞানীদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। যাদের দিয়ে সে যে টার্গেট করছে সেই টার্গেট আগাবে দিতে পারেনি। ইরান তার যে মিসাইল সিস্টেম বা মিসাইল ব্যবস্থা সে বলছে সেই মিসাইল ব্যবস্থার তার বিভিন্ন যে লেয়ারগুলো আছে বিভিন্ন ধরনের মিসাইল আছে সেগুলো সে পরীক্ষা করে দেখতে পেয়েছে বুঝতে পেরেছে যে তার কোন মিসাইলগুলোর কি ধরনের একিউরেসি বা

নিখুতভাবে টার্গেট করার ক্ষমতা আছে সেটা সে বুঝতে পেরেছে তা আমি আপনি আমি আপনি এখনো পর্যন্ত জানি না যে সে মিসাইলটা নিক্ষেপ করার সময় কোন কোঅর্ডিনেট বা কোন লোকেশনকে এক্সাক্টলি টার্গেট করে মিসাইলটা নিক্ষেপ করেছে এবং সে মিসাইলটা শেষ পর্যন্ত সেই লোকেশন থেকে কত মিটার দূরে বা একেবারে এক্সাক্ট সেই লোকেশনে আঘাত হেনেছে কিনা এই যে একিউরেসি সে এই জিনিসগুলোকে এখানে পরীক্ষা করতে পেরেছে। এগুলোর উপরে এখন তার কাজ করতে হবে। তার মিসাইল সিস্টেমের যেই লেভেলের মিসাইলগুলো সবচেয়ে বেশি সক্রিয় এবং সবচেয়ে বেশি সফল হয়েছে




সেগুলোতে সে হয়তো আরো বেশি বিনয়োগ করবে। তার শুধুমাত্র ভূমি থেকে নিক্ষিপ্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় না আকাশ থেকে নিক্ষিপ্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তার বিনিয়োগ করতে হবে সেটার জন্য সে এখন নতুন নতুন বন্ধু খুঁজবে তার উপর থেকে যদি নিষেধাজ্ঞা উঠে যায় তখন হয়তো দেখা যাবে আমেরিকার সাথে সে এই নিয়ে চুক্তি করতে পারে তার যে সমস্ত বিমান সে উড়াতে পারছে না হেলিকপ্টার উড়াতে পারছে না সেগুলোর জন্য সে কাজ করবে। সুতরাং এই যে ইরানের এই যুদ্ধের পর ইরান যে পর্যায়ের দুর্বল এটা ইরানের আশেপাশের দেশের জন্য একটা বার্তা। যে সমস্ত দেশ


ইরানকে অনেক বেশি ভয় পেত। তাদের জন্য একটা বার্তা যে ইরানের কি আছে মোটামুটি আমরা বুঝতে পেরেছি। ইসরাইলের জন্য বার্তা। আবার ইসরাইলের যে দুর্বলতা সেটাও এই যুদ্ধে প্রকাশ পেয়েছে। যে ইসরাইলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম একেবারে পুরোপুরি কি বলে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা দিচ্ছে। বিষয়টি সেরকম না। ইসরাইলের আমেরিকা যদি ইসরাইলের পিছনে না দাঁড়ায় কোন কারণে কখনো বিশ্বে ভবিষ্যতে তাহলে ইসরাইল বামের রাষ্ট্রটি হয়তো থাকবেই না। এরকম একটা পরিস্থিতি। আমেরিকা ইসরাইলের পিছনে না দাঁড়ালে ইরানের জাস্ট এতটুকু আঘাতের বিরুদ্ধে ইসরাইল 12 দিনের বেশি টিকতে পারে

না। যেই ইরানকে সে সবকিছু শেষ করে দিবে, রেজিম চেঞ্জ করে দিবে, ইরানের পরমাণু অস্ত্র শেষ করে দিবে, সেই ইরানের সাথে তার এসে যুদ্ধবিরতি করতে হচ্ছে। যেই খামেনাইকে হত্যা করবে বলেছে হত্যা না করে ঘরে ফিরবে না বলেছে তার সাথে যুদ্ধবিরতি করতে হয়েছে সুতরাং ইসরাইলের এই যে তার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের দুর্বলতা ইসরাইলের গোয়েন্দা ব্যর্থতা গোয়েন্দা ব্যর্থতা কিভাবে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ইসরাইলের গোয়েন্দা ব্যর্থতা হচ্ছে সে যেভাবে ইরানের মধ্যে তার হ্যাঁ ইরানের মধ্যে প্রচুর গোয়েন্দা সে ব্যবহার করেছে কিন্তু তারপরও যেভাবে ইরানের মধ্যে সে একটা আপজিং


তৈরি করার চেষ্টা করেছিল একটা ব্যাপক পরিমাণে সরকার বিরোধী বিক্ষোপ তৈরি করার চেষ্টা করেছিল। সরকার পরিবর্তন করতে পারবে বলে তাকে তথ্য দেওয়া হয়েছিল। সেই তথ্যগুলো সঠিক না। সেখানে সে ভুল গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে। এমনকি এরকম কিছু খবরও এখন আসছে যে মোসাদের গোয়েন্দা প্রধান মোসাদের প্রধান ইরানের আক্রমণে নিহত হয়েছেন এরকম কিছু খবর। সেই খবরগুলো সঠিক না। যাই হোক এখন এই যে এই যে বিষয়টা যে ইসরাইল এবং ইরান দুজনের দুর্বলতা তারা দুনিয়ার সামনে প্রকাশ করেছে। এখন তাদের আবার সামনে সময় লাগবে এই দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার। একদিকে ইরান নিজের এই




সামরিক দুর্বলতা গোয়েন্দা দুর্বলতা কাটিয়ে উঠে সেখানে আবার অর্থনৈতিক দুর্বলতা যোগ হবে সেটা এড করে তারপরে তার এই যে প্রক্সি সংগঠনগুলোর যে ভঙ্গুর অবস্থা সেখানে তাদের ব্যাপক পরিমাণে ইনভেস্ট করতে হবে তারপরে সেই আগের অবস্থায় যদি সে ফিরে আসতে পারে তখন সে আবার শক্তি অর্জন করবে কিন্তু ইতিমধ্যে ইসরাইল যে বিষয়টা যে এই যে যুদ্ধবিরোধ লেবাননের যুদ্ধবিরোতি, গাজা ভূখন্ডের যুদ্ধবিরোতি, ইরানের সাথে যুদ্ধবিরোতি, ইসরাইল এই যুদ্ধবিরোতি মেনে নিয়ে বসে থাকতে পারবে কিনা? ইসরাইল বসে থাকতে পারবে না। ইসরাইল বসে থাকলেই তার হচ্ছে ক্ষয়


ধরবে। আমার দেশে অনেক সময় বলা হয় যে আপনি যদি বসে থাকেন বুড়োদেরকে যে ক্ষয় ধরবে। হাড্ডিতে ক্ষয় ধরবে। তো ইসরাইল বসে থাকলেই তার রাষ্ট্রে ক্ষয় ধরবে। তার হচ্ছে দৌড়াদৌড়ি করতে হবে। তার হচ্ছে এখানে সেখানে হামলা মারামারি এগুলো করতে হবে। এজন্য সে কখনো সিরিয়ায়, কখনো লেবাননে এবং ফিলিস্তিন তো আছেই। এগুলোতে সে আক্রমণ করবে। আক্রমণ কন্টিনিউ করবে। বিভিন্ন সময় দেখা যাবে যে আমেরিকার সাথে একত্র হয়ে ইরানকে হুমকি ধামকি দিবে। সেই হুমকি ধামকির উপরে ইরান দুই চারটা হুমকি ধামকি দিবে। তারপরে হুথিদের উপরে কিছু আক্রমণ করবে। নতুন কোন দেশ খুঁজে পাবে।

এখন নতুন দেশ হচ্ছে সিরিয়া। ইসরাইলের জন্য সেখানে সে আক্রমণ করবে। ইরাকে বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণ করবে। এই আক্রমণ তার কন্টিনিউ করতে হবে। সে যদি আক্রমণ না করে অর্থাৎ ধরুন রক্ত চুষা যদি কোন জিনিস থাকে তার রক্ত খেতেই হবে। রক্ত খেয়ে যে বাঁচে তার রক্ত খেতে হবে। সে যদি রক্ত না পায় সে বাঁচবে না। তো এই আক্রমণের উপরে ভিত্তি করে ইরানের ইসরাইলের বর্তমান সরকার। সুতরাং তার আক্রমণ না করলে সে বাঁচবে না। এজন্য তার এটা করতেই হবে। এখন ট্রাম্প এখানে এই যুদ্ধবিরোতির মাধ্যমে কি করতে চেয়েছেন? ট্রাম্প এখানে এই যুদ্ধবিরোতির মাধ্যমে নিজে নোবেল


পুরস্কার পেতে চেয়েছেন। কিন্তু এই যুদ্ধবিরোতির পেছনে মূল কলকাঠি কে নাড়ছে? আমি জানিনা। তবে দুজন ব্যক্তির কথা বলতে হবে। একটা হচ্ছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরেকটা হচ্ছে ব্রিটেন। ব্রিটেনের রাজা। খুব সম্ভবত যদি বলি ব্রিটেনের রাজা। ইসরাইলকে থামানোর জন্য ট্রাম্পের টুইট কোন কাজে লাগতো না। যদি ব্রিটেন ইসরাইলকে না থামায়। আবার ইসরাইল কে থামানোর জন্য যেই সমস্ত পরামর্শ বা যেই সমস্ত হুমকিধামকি এসেছে সেগুলো কোন কাজে লাগতো না যদি রাশিয়া ইরানের পক্ষে না দাঁড়াতো এবং এমন একটা পরিস্থিতিতে গিয়েছিল যে রাশিয়া ইরানের সাথে একত্রে এই যুদ্ধে


দাঁড়ানোর ঘোষণা দিবে দিবে অবস্থা এরকম কিছু বার্তা হয়তো আমেরিকার কাছে এবং ব্রিটেনের কাছে গিয়েছে যে রাশিয়া শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধ যদি কন্টিনিউ হয় তাহলে ইরানকে আরো বেশি অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাপোর্ট দিতে পারে। রাশিয়ার কাছে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে গিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে এবং তার পরপরই পুরো রাশিয়ার মানে মিডিয়া থেকে শুরু করে রাশিয়ার সরকারি বেসরকারি যত ব্যক্তি তারপরে হচ্ছে সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তা এমপি মন্ত্রী অমুক সমুক যারা ছিল সবার বক্তব্যই চেঞ্জ হয়ে গিয়েছিল জাস্ট হচ্ছে দুই তিন দিনে সুতরাং সেখানে


রাশিয়ার একটা ওজন ছিল আর ব্রিটেনের কারণ হচ্ছে ট্রাম্প এই যুদ্ধবিরতির পর এই যুদ্ধবিরতি ঘটার পর ট্রাম্পকে ন্যাটোর প্রধান খুব মানে প্রশংসা করে তারপরে হচ্ছে মেসেজ দিয়েছে মোবাইল মেসেজ সেই মোবাইল মেসেজ আবার হচ্ছে ফাস হয়ে গেছে সেখানে তাকে বলা হচ্ছে যে আপনি হচ্ছেন বিশ্বের একমাত্র প্রেসিডেন্ট আমেরিকায় এই ধরনের কোন প্রেসিডেন্ট এর আগে আসেনি আপনি খোদার পক্ষ থেকে পাঠানো একেবারে স্পেশাল ব্যক্তি আপনাকে আমি ধন্যবাদ জানাই এত এত বড় একটা যুদ্ধবিরোতি করেছেন। সুতরাং এই যুদ্ধবিরোতির মাধ্যমে আপনি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। আপনাকে নোবেল প্রাইজ




দেওয়া দরকার। এই অনেক কিছু বলে তারপর বলছে যে আপনি আসেন ন্যাটো সম্মেলনে আরো অনেক কিছু করতে পারবেন আপনি। এবং সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আপনার এই যুদ্ধবিরতি ঘটানোর পর আপনি রাজার সাথে ব্রিটেনের রাজার সাথে আপনি ডিনার করবেন। এটাই হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় সংবর্ধনা আপনাকে বা সবচেয়ে বড় দেয়া। এর চেয়ে বড় আর কিছু দিতে পারি না। তো এই যে বিষয়টা ইরান ইসরাইলের যুদ্ধে আমেরিকা ব্রিটেনের মধ্যস্থতা আর এই আমেরিকা ব্রিটেনের মধ্যস্থতার সাথে সাথে আরো কিছু দেশের মধ্যস্থতা আছে তার মধ্যে একটা হচ্ছে কাতার খুব গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কাতার কাতার

পেটে ইরানের লাত্থি খাওয়ার পরেও বলছে ঠিক আছে ভাই আমি মধ্যস্থতা করে হয় না দুই ছেলে পোলাপান যখন হচ্ছে মারামারি করে আপনি মাঝখানে একটু মুরুব্বি টাইপের মাঝখানে একটু গিয়ে তাদেরকে হচ্ছে থামানোর জন্য চেষ্টা করতেছেন একে একে অপরকে মার দিচ্ছে অপরকে মার দিছে মাঝখান থেকে একটা পড়তেছে আপনার গালে বা আপনার পেটে তারপর আপনি চিন্তা কর আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে থামাই তো কাতারের পরিস্থিতি হচ্ছে সেটা কাতার পেটে লাত্থি খেয়েও এই যুদ্ধ থামানোর মধ্যস্থতা করেছে এবং ট্রাম্পের সাথে আমেরিকার সাথে ইসরাইলের সাথে ইরানের সাথে আলোচনা করে এই যুদ্ধে থামিয়েছে। এখন এই


যুদ্ধ থামানোর পর কিছু দেশ দেখবেন আরো বেশি পশ্চিমা সাপোর্ট পাবে। কেন পাবে? কারণ হচ্ছে এই যুদ্ধে ইরান যে একা ছিল ইরানের পক্ষে মোটামুটি একটু সাপোর্ট দেয়ার সম্ভাবনা যে সমস্ত দেশে ছিল সেই দেশগুলো কিন্তু এই যুদ্ধের সময় ইরানকে কোন ধরনের কোন ধরনের না রাজনৈতিক না ডিপ্লোম্যাটিক না সামরিক কোন ধরনের সাপোর্ট দেয়নি। তার মধ্যে একটা হচ্ছে পাকিস্তান আরেকটা হচ্ছে তুরস্ক। সুতরাং আমরা ভবিষ্যতে দেখব যে এই দুই দেশের সাথে পশ্চিমাদের আরো ভালো কিছু সম্পর্ক হতে পারে। আরেকটা প্রশ্ন আপনাদের কাছ থেকে আসে যে এই যুদ্ধে মুসলিম বিশ্বের কেউ ইরানের পাশে


দাঁড়ায়নি কেন বা দাঁড়িয়েছিল কিনা? ইরানের পাশে মুসলিম বিশ্বের কেউ তো দাঁড়াবে না। এটা তো জানা কথা। নতুন কিছু না। আর কি এটা জানা কথা। নতুন কিছু না। এখন ইরানের পাশে না দাঁড়ানোর অনেকগুলো কারণ আছে। এর অনেকগুলো মানে ঐতিহাসিক কারণ ইরান গত 20 30 বছরে যে সমস্ত কাজ করেছে ওই সমস্ত দেশের সাথে সেগুলোর কারণ আমেরিকা ওই সমস্ত দেশের সাথে যে সম্পর্ক আছে সেগুলো এর কারণ ওই সমস্ত দেশ মুসলিম ভ্রাতৃত্বের প্রতি যে একেবারে আন্তরিক যথেষ্ট পরিমাণে আন্তরিক না সেই কারণ রাজনৈতিক কারণ অর্থনৈতিক কারণ অনেকগুলো কারণ। যেমন ধরুন


সৌদি আরবের সাথে ইরানের সমস্যাটা কোন জায়গায়? অনেক জায়গায়। সৌদি আরবের মানে একেবারে ঘরের পিছনের যে তার বাগান বা উঠান সেটা হচ্ছে ইয়েমেন। সেই ইয়েমেন ইরান দখল করে নিয়েছে। অর্থাৎ ইরানপন্থীদের হাতে চলে গেছে। সেখানে সৌদি আরবের সাথে ইরানের যে যুদ্ধ ব্যাপক পরিমাণের যুদ্ধ গাজা ভূগ্ণডার কিসের যুদ্ধ? ইয়েমেনের সৌদি আর ইরান যে যুদ্ধ করেছে মানুষ শেষ পর্যন্ত বিড়াল পর্যন্ত খেয়েছে। বিড়াল ইয়েমেনে আবার সিরিয়াতে সৌদি আরব ইরান যুদ্ধ কিছুদিন ইরানের হাতে ছিল এখন সৌদিপন্থীদের হাতে এরপরে লেবাননে ইরান সৌদি আরব যুদ্ধ

এরপরে ইসরাইলে ইরান সংযুক্ত আরব আমিরাত যুদ্ধ ইসরাইলে মানে ফিলিস্তিনে ফিলিস্তিনে ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুদ্ধ একই সাথে বাহরাইনে বাহরাইনে দেশের মধ্যেই হচ্ছে বাহরাইনের সরকারের সাথে ইরানের যুদ্ধ কাতারের সাথে ইরানের সম্পর্ক ভালো কাতার এজন্য হচ্ছে পেটে লাথিকে ইরানকে থামিয়েছে তুরস্কের সাথে ইরানের তো এমনিতেই হচ্ছে মানে কখনো শত্রুতার সম্পর্ক কখনো হচ্ছে সেটা সমান সমান থাকে অনেকগুলো কারণে পিকেকের কারণে তুরস্কের মধ্যে ইরান বিভিন্নভাবে তার প্রক্সি সংগঠন তৈরি করার যে চেষ্টা করেছিল সেটাকে তুরস্ক আটকে দিয়েছে সেটার লেজ কেটে দিয়েছে


হিজবুল্লাহ নামে একটা সংগঠন তুরস্ক একসময় ছিল এখানে ইসলামী শাসন কায়েম করবে এগুলো নিয়ে। তারপরে তাদেরকে একেবারে ধুলিসাদ করে দিয়েছিল। এরপরে এই পিকে ইরান সাপোর্ট দেয়। তুরস্ক আবার ইরানের মধ্যে তুর্কিদেরকে সাপোর্ট দেয়। ইরানের সরকার বিরোধী অনেকগুলো আন্দোলনে সাপোর্ট দিচ্ছে। আবার তুরস্ক আজারবাইজানকে সাপোর্ট দেয়। আজারবাইজানের শত্রু আর্মেনিয়াকে। ইরান সাপোর্ট দেয়। আজারবাইজান আর্মেনিয়ার যুদ্ধে ইরান তুরস্ক পরস্পর বিরোধী অবস্থানে একেবারে কঠিনভাবে ছিল। তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য ইরান ন্যাটোর শত্রু সিরিয়াতে তুরস্ক ইরানের হাত থেকে কেড়ে




নিয়েছে সিরিয়াকে এই যে ঘটনাগুলো এই ঘটনাগুলোর কারণে এরা একে অপরের বন্ধু না মানে এই দ একেবারে মানে কি বলে ক্রান্তিকালে এরা পাশে দাঁড়ায়নি সুতরাং এখানে মূল বিষয়টা হচ্ছে আপনি নিজে নিজের শক্তিটা কত সেটা নিয়ে দাঁড়াতে হবে এটা শুধুমাত্র ইরানের ক্ষেত্রে না তুরস্কের ক্ষেত্রেও আজকে যদি তুরস্কের উপরে কোন আক্রমণ আসে যেকোন দেশ থেকে সেখানে তুরস্কের পাশে এই আরব দেশের কেউ দাঁড়াবে না ইরান দাঁড়াবে না আরব দেশগুলো দাঁড়াবে না কেউ দাঁড়াবে না কে দাঁড়াবে পাকিস্তান দাঁড়াতে পারে আজারবাইজান দাঁড়াতে পারে কাতার হয়তো তার এই যে


ডিপ্লোম্যাটিক যে রোলগুলো আছে সেগুলো প্লে করতে পারে একটা প্রশ্ন আসে যে আনুষ্ঠানিকভাবে ইরান আন্তর্জাতিক পরমাণু যে সংস্থা সেখান থেকে বের হয়ে গেছে এটার মাধ্যমে কি ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করবে দেখুন এটা হচ্ছে একটা রিএকশন যে ইরান তার পার্লামেন্টে এটার বিরুদ্ধে একটা ভোট দিয়েছে ভোটাভোটি হয়েছে একটা রিয়াকশন কিন্তু সেটার যে কার্যকর করা সেটার যেঅকশন নেয়া বা সেটা যে হচ্ছে কি বলে সেটা যে বাস্তবায়ন সেটার দায়িত্ব ইরানের পার্লামেন্টে না। এরপরে প্রেসিডেন্ট আছে, ইরানের সর্বোচ্চ সূরা আছে, সর্বোচ্চ ধর্মনেতা আছে। আরো তিনটা

ধাপ আছে। সুতরাং এই সমস্ত দিক থেকে চিন্তা করলে ইরান এই যুদ্ধে তার সবচেয়ে যে যৌক্তিক কাজ সেটা করেছে। যৌক্তিক কাজ। যৌক্তিক কাজটা কি? এটাকে আমরা অনেক সময় বলি যে জেনে শুনে হচ্ছে নাটক করা। অনেকে আমরা বলি যে জেনে শুনে নাটক করা জনগণকে নাটকের মত দেখানো যে আমি কাতারে আক্রমণ করব কিন্তু কেউ হতাহত হবে না আবার আমেরিকা ইরানের ঘাটিতে আক্রমণ করবে ঘাটির কোন ক্ষয়ক্ষতি হবে না মাঝখান থেকে যেটা হবে ইসরাইল আর ইরানের মধ্যে একটা ব্যাপক পরিমাণে মারামারি হবে এখন এজন্য অনেকে বলে যে ইরান আর হচ্ছে ইসরাইল আমেরিকা এরা হচ্ছে বন্ধু এবং তাদের


মধ্যে আসলে এই ধরনের এই যে মারামারিগুলো এগুলো হচ্ছে জেনে শুনে বলাবলি করে বা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এটা করে মানুষকে দেখানোর জন্য আমি বিষয়টা ওইভাবে দেখি না আমি এর আগেও বহুবার এটা নিয়ে আলোচনা করেছি যে আসলে ঘটনার মূলটা কোন জায়গায় ঘটনার মূলটা হচ্ছে ইরান কোন জিনিসটাকে গুরুত্ব দেয় ইরানের এখানে বাঁচিয়ে রাখার মূল জায়গাটা কি ইরান কি বাঁচিয়ে রাখতে চায় ইরান কি নিয়ে সামনে আগাতে চায় ইরানের অদুর মানে কিভাবে বলব ইরানের ফিউচার টার্গেট কি আসলে ইরানের ভবিষ্যৎ টার্গেট কি আমি ইরান নিয়ে দুটো ভিডিও করেছিলাম


খুব সম্ভবত গত বছর ইরান ডিকোডিং পর্ব এক ইরান ডিকোডিং পর্ব দুই সেই ভিডিও দুটা যদি দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে ইরানের এই যে প্রক্সি সংগঠনগুলো করার পেছনের কারণ কি এবং ইরান যে স্টাইলে তার এই যে ফরেন পলিসি পরিচালনা করছে সেটার পেছনের কারণ এবং সেই ভিডিও দেখার পরে আপনি বুঝতে পারবেন যে ইরানের বর্তমান যে অবস্থা অর্থাৎ আমেরিকা ইসরাইলের মার খাওয়ার পর বা আমেরিকার মার খাওয়া বললাম না ইসরাইলের মার খাওয়ার পরেও আবার ইসরাইলের সাথে গিয়ে চুক্তি করছে এর কারণ কি? এর কারণ হচ্ছে ইরানের মূল বিষয় হচ্ছে ইরানের অস্তিত্ব টিকিয়ে

রাখা। অস্তিত্ব বলতে এখানে শুধুমাত্র ইরানের রাষ্ট্রের অস্তিত্ব না। ইরানের মানচিত্রের অস্তিত্ব না। ইরানের খামেনায়ী শাসন টিকিয়ে রাখা। ইমামতি টিকে রাখা। ইমামতের যে সিলসিলা সেটাকে টিকে রাখা। এবং এটা যদি আপনি সেই ইমামতের ইতিহাস পড়েন অর্থাৎ আলী রাদিয়াল্লাহু থেকে শুরু করে তাদের 12 ইমাম। তারপরে হচ্ছে তাদের ইমাম মেহেদীর যে হচ্ছে আত্মগোপনে যাওয়া এবং এই শত শত বছর ধরে আত্মগোপনে থাকা যেকোনো সময় তিনি আসতে পারেন এবং তিনি এসে বড় ধরনের কেউ সৃষ্টি হলে তিনি আসবেন আসলে হচ্ছে তিনি রক্ষা করবেন এবং ইমামতির দায়িত্ব


পালন করবেন সে পর্যন্ত এখন যারা ইমাম আছে তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখা এবং এই ইমামতির সিলসিলাটাকে কন্টিনিউ করা এটাই হচ্ছে ইরানের সবকিছুর ঊর্ধে সবচেয়ে মূল বিষয় সেটার জন্য তার যদি 20 জন জেনারেল কেন 100 জন জেনারেলও যদি তার শহীদ হয় তার কথা অনুযায়ী বা নিহত হয় সেটাও তার জন্য বড় ধরনের ক্ষতি না যদি তার এই ইমামতের সিলসিলা বা বেঁচে থাকে সেটাই হচ্ছে তার জন্য বড় বিজয় কারণ বিভিন্ন সময় দেখা গেছে যে এই শিয়া সুন্নির লড়াই কোত্থেকে আসছে ইমামতের সিলসিলা এবং যদি বলি এটাকে ব্যবহার করে যে ক্ষমতা ক্ষমতায় যাওয়ার বা এই অঞ্চলে ইমামতের শাসন প্রতিষ্ঠা করার


যে ধারণা সেখান থেকেই তো আসা। সুতরাং সেখান থেকে এই ধারণা আসার মধ্যে অনেকবার এই ইমামদের এই অঞ্চল থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে অনেকবার। রাজনীতি ছেড়ে দিতে হয়েছে কৌশলের কারণে। যখন দুর্বল হয়ে গেছে তারা রাষ্ট্রশাসনকে ছেড়ে দিয়ে শুধুমাত্র ইমামতির দায়িত্ব পালন করেছে। আবার এটা নিয়ে যখন আস্তে আস্তে শক্তিশালী হয়েছে অনেক সময় নাইজেরিয়া পর্যন্ত আফ্রিকায় যেতে যেতে নাইজেরিয়া পর্যন্ত গেছে সেখান থেকে আবার ফেরত এসেছে এই মধ্যপ্রাচ্যে। সুতরাং এই যে সিলসিলাকে বাঁচিয়ে রাখা যে এখান থেকে যদি দুর্বল হয়ে যায় যদি পড়ে




যায় তাহলে আবার আত্মগোপনে যেতে হবে। আবার কত বছর তাদের হচ্ছে সেখানে সেই আত্মগোপনে থাকতে হবে সেভাবে কাজ করতে হবে তারপর নিশ্চিত হবে সুতরাং এটাকে বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে এই সবকিছুর ঊর্ধের কাজ এবং এ কারণে এখন তারা বিজয় উদযাপন করছে এ কারণে তারা বিজয় উদযাপন করছে আর আর যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে সেই প্রশ্নের উত্তর দেব রাশিয়ার প্রতির প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা দিবিত্রি মেদভবেদের প্রকাশে বলেছিলেন যে অনেক দেশ ইরানকে পরমাণু বোমা দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে এই দেশগুলোর মধ্যে যে রাশিয়া আছে সেটা অনুমে অনুমেয়ও এই


সংবাদে আমেরিকা ইসরাইল থমকে গেছে এই সংবাদে আমেরিকা ইসরাইলের থমকে যাওয়ার দরকার আছে বলে মনে হয় না মেদভেদে বহু এরকম বক্তব্য সে দিয়েছে মেদভবেদেবের বক্তব্যের গুরুত্ব আছে কিন্তু তারপরেও তার বক্তব্যের আবার হচ্ছে অনেক বক্তব্য এরকম এসেছে যে যেগুলোর আসলে ভ্যালু থাকে না সে বারবার বলেছে যে জেনেসকিকে হত্যা করা হবে জেনেসকিকে ক্ষমতাচুত করা হবে জেনেসকির রাসপারাসাদে মিসাইল মেরে আমরা উড়িয়ে দেব এরকম অনেক বক্তব্য সে বিভিন্ন সময় দিয়েছে যাই হোক আপনার তুরস্ক কি করেছে দুগ্দোগান তো তলে তলে ইসরাইলকে আব্বা ডাকে ইরান তো ইসরাইলের

সাথে লড়েছে চমৎকার কথা বলেছেন একেবারে আমার মনের মনের কথা বলেছেন সে তলে তলে না তো সে তো ওপেনে ইসরাইলকে আব্বা ডাকে বিভিন্ন সময় লাইভে এসে আব্বা আব্বা আব্বা আব্বা করে হ্যাঁ সেই লাইভগুলো আমরা আপনারা আমরা দেখি আবার সে ওই আব্বা আব্বা করার কারণে পশ্চিমা বিশ্ব আবার তাকে হচ্ছে বাবু বাবু বাবু বাবু করে আদর দেয় এটা বাস্তব কিন্তু এখানে বড় ব্যাপার হচ্ছে যে ইসরাইল যদি ইরানের উপরে আক্রমণ না করতো ইসরাইল যদি ইরানের উপরে সরাসরি আক্রমণ না করতো ইরানের এতগুলো জেনারেলকে হত্যা না করতো ইরানের এতগুলো বিজ্ঞানীকে হত্যা না করতো


তাহলে এই ইরান ফিলিস্তিনিদের জন্য মিসাইলগুলো মারতো। এখন ইরান নিজেকে রক্ষার জন্য যে মিসাইলগুলো মেরেছে মারতো মারতো না। এগুলো আবেগের কথাবার্তা। এই কথার কোন ভ্যালু নাই। আর হচ্ছে তুরস্ক এই বিষয় নিয়ে ইসরাইলের সাথে কতটুকু আগাবে না আগাবে এগুলো আমার ভিডিওগুলো যারা মানে কন্টিনিউয়াসলি দেখেছেন তারা বলতে পারবেন যে এই জিনিসগুলো আসলে নতুন কিছু না এটা নিয়ে হচ্ছে আবেগ দেখানোর বা আবেগ প্রকাশ করার কিছু নেই সরার ভাই আমি শরিফ আর আমার ওয়াইফ প্রত্যেকদিন অপেক্ষা করি কোন সময় আপনি লাইভে আসবেন আর দুজনে আপনার লাইভ দেখি


ইরান ইসরাইল তো যুদ্ধবিরোতি হলো এখন ইসরাইল আর কাকে আক্রমণ করতে পারে তুরস্ককে না ইরান যেহেতু থেকে আছে ইরান যেহেতু পড়ে যায়নি ইরান যদি পড়ে যেত তাহলে হয়তো বলা যেত যে ইরান পড়ে যাওয়ার পরে তুরস্ক আক্রমণ হবে কিন্তু ইরান যেহেতু দাঁড়িয়ে আছে এখন ইরান এই অবস্থায় থাকায় এই যে ইরান ইসরাইল যুদ্ধের পরে ইরান এই অবস্থায় থাকায় লাভটা কার এই অঞ্চলে যতগুলো দেশ ইরানকে মানে সরাসরি না বলতে পারে কিন্তু ইরানকে পছন্দ করে না সবগুলো দেশের লাভ যেমন ধরুন তুরস্কের যথেষ্ট লাভ মানে তুরস্ক তো এখন নাচবে আর কি ইরান আর কি বিজয় উদযাপন করে বিজয়


উদযাপন করা দরকার তো তুরস্কের যে ভাই ইরান পরেও নাই আবার দাঁড়াইয়েও থাকতে পারে নাই বাঁকা হয়ে গেছে ইরানের অস্ত্রশস্ত্র কতদূর কি আছে আমরা খোঁজখবর জানিছি তার চেয়ে বড় এখন ইসরাইলের আক্রমণের কারণে মোটামুটি হচ্ছে বের হয়ে গেছে যে তার কতটুকু ওপেন আর কতটুকু গো ওপেন। তারপরে হচ্ছে ইরানের বিশাল বিশাল মানে টপ জেনারেলদের হচ্ছে যে হত্যা করা হয়েছে আপনি দেখুন একটা দেশের এককটা জেনারেল এক একটা সেনাপ্রধান তৈরি করার জন্য কত কাটখর করাতে হয়। একটা সেনাবাহিনীর একটা সৈনিক তৈরি করার জন্য একটা দেশ যে পরিমাণ খরচ করে। তারপরে


সেনাবাহিনী বাদ দিলাম আইআরজিসি ইরানের বিপ্লবী গার্ড। যেটার জন্য ইরান সবচেয়ে বেশি বিনয় করেছে সেটার ক্ষেত্রে সে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এই ক্ষতি পুশিয়ে উঠে অন্য দেশকে নিয়ে ইরান আবার ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়বে বা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে সেটার জন্য অনেক সময় লাগবে সুতরাং সেই দিক থেকে এই দেশগুলো এখন অনেকটাই একটু মানে ফুরফুরে মেজাজে যা ঠিক আছে ইরানকে তো মোটামুটি একটা সাইজ টাইজ করেছে আবার পড়েও যায়নি কারণ পড়ে গেলে আবার ওই যে শত্রু ইসরাইলের শত্রু আসলে আসলে পড়ে গেলে ওই শত্রু আবার হচ্ছে অন্যকে

ধরতো। তো যেহেতু এখনো পর্যন্ত বেঁচে আছে তারপরে হচ্ছে আবার শক্তি অর্জন করবে। ওই শত্রু আবার ওকে নিয়ে ওর প্রক্সিগুলো নিয়ে তারপরে হচ্ছে আশেপাশের দেশগুলো নিয়ে আবার ঝামেলায় থাকবে। আমি ঠান্ডায় আছি। একেবারে পুরোপুরি শত্রু না আবার মিত্র না। তো সে একটু দুর্বল হইছে সেটাও ভালো। আর শত্রুর অবস্থা তো আমরা বুঝতেই পারলাম। সুতরাং সেইদিক থেকে এটা সৌদি আরবের জন্য ইরানের এই পরিস্থিতি পজিটিভ। তুরস্কের জন্য পজিটিভ। এরপরে হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জন্য পজিটিভ, ইসরাইলের জন্য পজিটিভ, আমেরিকার জন্য পজিটিভ। গাজার যুদ্ধবিরোতির কতদূর? গাজার


যুদ্ধবিরোতি গাজায় আজকে একটু আগেও তো ইসরাইল বহু মানুষকে হত্যা করল। গাজা এখন আর যুদ্ধবিরোতির যুদ্ধবির না। গাজা এখন হচ্ছে যে আউট অফ সাইড, আউট অফ মাইন্ড। মানে এখন আর গাঁজা নিয়ে কেউ আলোচনাও করতেছে না। সামনেও আসতেছে না। সামনে অনেকগুলো জিনিস আসতেছে। ইসরাইল ওদিকে তার ইচ্ছামত পাখির মত মানুষ মারতেছে। এবং সে মানুষ মারার জন্য একটা ফাদ তৈরি করেছে। কি ফাদ? যে মানুষ মারার জন্য বাসায় বাসায় যেতে হবে। বাসায় বাসায় যাওয়ার দরকার নাই। তাদেরকে আমরা হচ্ছে ওই যে কি বলব? মানে উদাহরণটা দিতে গেলে কষ্ট লাগে, খারাপ লাগে। এই ধরনের উদাহরণগুলো দিব। আমরা


গ্রামের দিকে মুরগি ধরার জন্য মুরগি ধরার জন্য মুরগিকে হচ্ছে এরকম খাবার দিয়ে ডেকে ডেকে ডেকে ডেকে নিয়ে এসে তারপরে হচ্ছে ওই একটা ইসের মধ্যে কি বলে এটাকে তারপরে মুরগিটাকে ধরা হতো ইসরাইল এখন ফিলিস্তিনিদেরকে অভুক্ত দিনের পর দিন না খেয়ে থাকা ফিলিস্তিনিদেরকে আমেরিকার আমেরিকা এবং পশ্চিমা বিশ্ব পূর্বের বিশ্ব মুসলিম বিশ্ব সবাই মিলে কিছু ত্রাণ ট্রাান দিচ্ছে সেই ত্রাণ নিতে যখন তারা আসে তখন তাদেরকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করে কোন টেনশন নাই সে বিনা বিনা টেনশনে এইভাবে গুলি করে হত্যা করতেছে মানুষকে। এটা হচ্ছে। মোসাদের প্রধানকে নিয়ে কিছু বলেন।


এটা একটা খবর এসেছে। কিন্তু এটার কোন নিশ্চিত তথ্য এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। খবরটা হচ্ছে যে ইরান মোসাদের একটা হেডকোয়ার্টার বা মোসাদের একটা কার্যালয়ে আক্রমণ করার পর মোসাদের প্রধান নিহত হয়েছে বলে কিছু এগুলোকে বলা হয় ক্লেইম বা দাবি। মানে অসমর্থিত কিছু সূত্র। বড় কোন গণমাধ্যমও না এটা করেছে। যে কারণে এটার উপরে বেশি আলোচনা করার সুযোগ নেই। তবে এই ধরনের বিষয়গুলো মানে মোসাদের প্রধান যদি নিহত হয় সেটা নিয়ে ইসরাইল এত তাড়াতাড়ি মুখ খুলবে না এবং এটা প্রধান গণমাধ্যমগুলোতেও আসবে না। এটাই স্বাভাবিক। তবে এখানে আমরা


হয়তো ফলো করতে পারি যে আগামী 10 15 দিনে মোসাদের প্রধানের কাছ থেকে কোন বক্তব্য আসে কিনা, মিডিয়ার সামনে আসেন কিনা, মিডিয়াতে কোন স্টেটমেন্ট দেয় কিনা, কোথাও কোন মিটিং এ সে যায় কিনা। যদি সেটা না হয় তাহলে বোঝা যাবে যে এই যে স্পেকুলেশন হিসেবে এখন যেটা আমরা বলছি এটা হয়তোবা সঠিক হতেও পারে। বর্তমান মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় পরাশক্তি কোন দেশ বলেন ভাইয়া প্লিজ। বড় পরাশক্তি যে কোন দেশ আমি জানিনা। পাকিস্তান বলবেন, সৌদি আরব বলবেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত বলবেন? তুরস্ক বলবেন নাকি ইরানকে বলবেন? আমি জানিনা। আসলে এটা হচ্ছে

আপনাদের উপর। আমার আমার কাছে এখনো পর্যন্ত পরাশক্তি বলতে কোন দেশ নাই। যাক আপনাদের কাবা সরার সারাজীবন ইরান বিরোধী তুরস্ক ইসরাইলের খাত চামচা কাইল্লা সরোয়ার ফল ফলের ফালের বিশ্লেষক চমৎকার লিখছেন ভাই এই শব্দগুলো কিভাবে লেখেন কোন কিবোর্ড দিয়ে লেখেন আমার কাছে একটু পাঠায় দেন দেখুন দুই তিনটা বিষয় ইরান বিরোধী চমৎকার হওয়াটা অস্বাভাবিক না। আমার ইরানের পক্ষে যাওয়ার মত কোন কি বলে এটাকে কোন ফ্যান্টাসি নেই। এক। এরপরে হচ্ছে তুরস্কের চামচা হওয়াটা অস্বাভাবিক না। যেহেতু তুরস্কে থাকে তুরস্কের চামচাগিরি একটু না করলে কি হয় নাকি? ইসরাইলের খাস চামচা। এখন


ইসরাইলের খাস চামচা না হলে তো এই যেই ফেসবু এই সমস্ত জায়গা থেকে তো আমাকে ব্লক করে দিবে। যে কারণে হচ্ছে প্রত্যেকদিন ইসরাইলের পক্ষে ব্যাপক পরিমাণে প্রচার প্রচারণা চালায়। আপনারা তো দেখেন এইযে আপনি যে ফলো করতেছেন হ্যা। এরপরে হচ্ছে ফালের বিশ্লেষক। আমি তো আসলে বিশ্লেষক না। আমি অনলাইনে এসে বকবক করি। কিছু মানুষ আছে আমাকে ভালোবাসে। তারা এগুলো দেখে আরকি। যাই হোক তারপরও আপনি যে আপনি যে এত বিশ্রি টাইপের একটা কমেন্ট করে তারপরে আপনার নিজের প্রচার নিজেকে প্রচার করতে পেরেছেন। যদি এই লোকের কাছাকাছি কোন বন্ধু-বান্ধব


থাকেন। আপনাদের উপরে আপনাদের উপরে আমার দাবি রইল। এই লোকটারে নিয়ে একদিন চা খাওয়াইন যে ভাই তুমি এই টাইপের বিশ্রি কমেন্ট কিভাবে করো? গরীব মানুষ বলেছেন পরিপক্ষ আলোচনা। এইতো আমার মত এই মানুষের আসলে ভালোবাসার মানুষ হচ্ছে এই যে গরীব মানুষগুলো। দেখেন গরীব মানুষ কি সুন্দর বলেছে। পরিপক্ষ আলোচনা। ভাই আপনি গরীব মানুষ হলেও আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার প্রতি ভালোবাসা যদি সুযোগ হয় আপনার বাসায় একদিন ছাড়া মুরগি খেতে আসবো। ইরান কেন রাশিয়া থেকে পারমাণবিক বোমা নেয় না? না নাকি রাশিয়া দিতে চায় না? ইরান পারমাণবিক বোমা নিবে রাশিয়ার কাছ




থেকে রাশিয়া দিবে? রাশিয়া তো বলছে যে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোয় রাশিয়ার সাইন্টিস্টরা কাজ করছে হাজার হাজার। এটা হচ্ছে রাশিয়ার কথা। তার মানে হচ্ছে পরমাণু বোমা দেয়ার চেয়ে পরমাণু বোমা তৈরি করা বা পরমাণু স্থাপনাগুলোকে তৈরি করা এবং সেখানে নিজের ইরানের সাইন্টিস্টদের তৈরি করা। সেখানে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হচ্ছে সাপোর্ট দেওয়া সেই কাজটা কিন্তু রাশিয়া করেই যাচ্ছে। গাজার এই অবস্থা শেষ হবে কবে আর কত মানুষ মরবে? গাজার এই অবস্থা কবে শেষ হবে? আসলে এটা আমি জানি না। এটা ওই দেখা গেল যে ট্রাম্পের উপরে নির্ভর করবে। ট্রাম্প যদি


হচ্ছে ইসরাইলকে বলে যে আর এটা করো না তাহলে হয়তো থেমে যাবে। কিন্তু আসলে তো গাজার পক্ষে কেউ নাই। যে কারণে আমি জানিনা আসলে গাজার এই অবস্থা কি হবে। সাউন্ড কোয়ালিটি বৃদ্ধি করা দরকার। অনেক নয়েজ আসে হেডফোন লাগিয়ে। কেন নয়েজ আসে ভাই? সাউন্ড তো ভালোই। এত সুন্দর জিনিস হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনলাম। তারপরেও যদি বলেন যে সাউন্ড কোয়ালিটি খারাপ কি করে বলেন? ন্যাটো সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া নিয়ন্ত্রণ পেয়েও যোগ দিচ্ছে না। কারণ কি হতে পারে এ বিষয়ে কিছু বলে না। আমি

জানিনা এই দেশগুলো নিয়ন্ত্রণ পেয়েও কেন যোগ দিচ্ছে না? এই কারণ এই মুহূর্তে আমার জানা নেই। আরব বিশ্বের সাথে ইরানের প্রধান সমস্যা কি আকিদাগত? প্লিজ একটু জানাবেন। আপনি ইমামিয়াত সম্পর্কে কিছু বললেন এটা থেকে তাই বোঝা যায়। না আকিদাগত না আরব বিশ্বের সাথে ইরানের প্রধান সমস্যা আকিদাগত না প্রধান সমস্যা হচ্ছে রাজনৈতিক কিন্তু সামনে নিয়ে আসা হয় আকিদাগত বিষয়টাকে প্রধান সমস্যা হচ্ছে ইরান চায় সে এই সৌদি আরব যেমন এখন হচ্ছে তার এই মক্কা এবং মদিনা দিয়ে পুরো মুসলিম বিশ্বে একটা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করছে সেটা যদি না


হতো সৌদি আরবে সালমানের কথায় কে কতটুকু নাচতো বা তাকে কতটুকু সমীহ করা হতো সৌদি আরবে মানুষ কেন যেত সৌদি আরব শুধুমাত্র এই মক্কা মদিনার মাধ্যমে যে লক্ষ লক্ষ বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা কামাই করে সেটা একটা বিশাল ব্যাপার। সৌদি আরবকে এজন্য সমীহ করে সবাই। ইরান চাচ্ছে যে এই মক্কা মদিনায় এই দুটো জায়গার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সে হচ্ছে এইখানে এটার মাধ্যমে এক জায়গায় মক্কা মদিনা আল কুদুস তিনটার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সে তার এই পুরো মুসলিম বিশ্বে ইমামতির যে রাষ্ট্র বা ইমামতির যে ক্ষমতা বা ইমামতির যে কি বলব এটাকে? যে রাষ্ট্রব্যবস্থা সেটা


প্রতিষ্ঠা করা। এখন এটা করতে গেলে সবচেয়ে বড় আঘাতটা আসে দুইটা জায়গায়। একটা হচ্ছে সৌদি আরব, একটা হচ্ছে ইসরাইল। আর কিছু না। আমার কাছে এটা মনে হয়। এবং এই শিয়া সুন্নির ব্যাপার কখনোই হচ্ছে আকিদাগত কোন বিষয় ছিল না। এটা অল্প কিছুদিন হয়েছে এটাকে আকিদাগত একটা বিষয় নিয়ে এসে তারপর হচ্ছে এটা নিয়ে মারামারি হচ্ছে। যাই হোক অনেক প্রশ্ন আপনাদের অনেক প্রশ্ন পজিটিভ প্রশ্নগুলোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ অনেকে বলেন যে ভাই আপনি খালি নেগেটিভ প্রশ্নগুলো পড়েন হুটহাট মানুষের প্রশ্ন পড়ান এই উল্টাপাল্টা মানুষের প্রশ্ন




পড়েন আমরা এত ভালো ভালো ই করি কমেন্ট করি আপনারা আপনি এগুলো পড়েন না সত্য কথা আসলে ভালো মানুষ ভালোবাসার লোক ভালোবাসার মানুষগুলো আছে বিধায় তো আমরা বেঁচে আছি আপনাদের প্রত্যেকটা কমেন্টের জন্য প্রত্যেকটা ভালোবাসার কমেন্টের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ সবাইকে আন্তরিক ভালোবাসা আপনাদের ভালোবাসা আপনাদের সাপোর্ট আপনাদের এই অক্লান্ত পরিশ্রম আসলেই অক্লান্ত পরিশ্রম যে অনেকে আছেন অফিস করেন সেই অফিসের মাঝে লাইভ করেন লাইভ দেখেন তারপর হচ্ছে কমেন্ট করেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ যারা পজিটিভ কমেন্ট করতেছেন যারা ভালোবাসার কমেন্ট করতেছেন যারা ইতিবাচক


কমেন্ট করতেছেন যারা সাপোর্ট দিয়ে কমেন্ট করতেছেন তাদের শক্তি হচ্ছে আমাদের এই জিনিস কন্টিনিউ করার শক্তি এজন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আবার যারা মানে খুব নেগেটিভ কমেন্ট করেন তাদেরকেও ধন্যবাদ। কারণ হচ্ছে তারপরেও তো সে নেগেটিভ কমেন্ট করলে তো সে আমার দর্শক। সে দেখছে দেখার পরে একটা কমেন্ট করতেছে। তার ভালো লাগে নাই। সে গালি দিছে। সে তার মুখ দিয়ে গালি দিছে। তার কিবোর্ড দিয়ে গালি দিছে। দিতে পারে কোন সমস্যা নাই। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

0 Comments:

Post a Comment

Featured Post

Ukraine war briefing: Trump says US looking at providing Kyiv with more Patriot missiles

 26-06-2025 Ukraine war briefing: Trump says US looking at providing Kyiv with more Patriot missiles President’s comments follow meeting wit...

Popular Posts

GENRES

Subscribe Us

 
Created By Jaaj Multimedia | Distributed By Jaaj Multimedia